আকিকার মাসআলা: আপনার নবজাতকের জন্য ইসলামিক ঐতিহ্য এবং বিধি-বিধান!! নতুন অতিথি আসার খুশিতে আপনি নিশ্চয়ই আপ্লুত। সেই সঙ্গে নবজাতকের ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনায় কিছু ইসলামিক রীতিনীতি পালন করাও জরুরি। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো আকিকা। আকিকা শুধু একটি প্রথা নয়, এটি নবজাতকের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের মাধ্যম।
কিন্তু “আকিকার মাসআলা” নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। আকিকা আসলে কী? এটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? আকিকার নিয়মকানুনই বা কী? কার ওপর আকিকা করা ওয়াজিব?
আজ আমরা আকিকা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব, যাতে আপনি আপনার সন্তানের জন্য সঠিক কাজটি করতে পারেন।
পড়ুনঃ ফজরের নামাজের শেষ সময় 2025
কসর নামাজের মাসআলা (Updated 2025)
আকিকা কী এবং কেন?
আকিকা আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো কোনো নবজাতকের জন্মের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু জবাই করা। এটি একটি সুন্নত আমল।
ইসলামে আকিকার গুরুত্ব অপরিসীম। আকিকার মাধ্যমে একদিকে যেমন আল্লাহ তাআলার প্রতি শুকরিয়া আদায় করা হয়, তেমনি নবজাতকের সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য দোয়া করা হয়। হাদিসে আছে, আকিকার মাধ্যমে সন্তান অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
আকিকার তাৎপর্য
আকিকা শুধু একটি প্রথা নয়, এর পেছনে রয়েছে গভীর তাৎপর্য। নিচে কয়েকটি তাৎপর্য তুলে ধরা হলো:
- আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা: সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া একটি উপহার। আকিকা এই উপহারের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম।
- আনন্দের বহিঃপ্রকাশ: নতুন সন্তান জন্ম নেওয়ার আনন্দ পরিবারের সবাই মিলে উদযাপন করার একটি সুযোগ হলো আকিকা।
- দান ও সহানুভূতি: আকিকার মাংস গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা সমাজের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা বাড়ায়।
- শিশুর সুরক্ষা: বিশ্বাস করা হয় যে আকিকা সন্তানকে বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে।
আকীকার বিধান সম্পর্কে হাদীস
আকীকার বিধান ইসলাম ধর্মে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা এবং কাজের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়েছে। এ বিষয়ে অনেক হাদীস ও সাহাবীদের বক্তব্য পাওয়া যায়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদীস উল্লেখ করা হলো:
সুন্নাহ কাওলী বা মৌখিক হাদীস
১. সালমান বিন আমের দাব্বী রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন:
তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন:
“مَعَ الْغُلَامِ عَقِيقَةٌ فَأَهْرِيقُوا عَنْهُ دَمًا وَأَمِيطُوا عَنْهُ الْأَذَى”
অর্থ: “পুত্র সন্তানের জন্য আকীকা রয়েছে। সুতরাং তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর এবং তার কষ্ট দূর কর।”
[বুখারী: ৫০৪৯; তিরমিযী: ১৫১৫; মুসনাদ আহমদ: ১৭৯০৭]
২. সামুরা বিন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বর্ণনা করেন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“كُلُّ غُلاَمٍ رَهِينَةٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ سَابِعِهِ وَيُحْلَقُ وَيُسَمَّى”
অর্থ: “প্রত্যেক শিশু আকীকার অধীন। সপ্তম দিনে তার জন্য পশু জবাই করা হবে, মাথা নেড়া করা হবে এবং নাম রাখা হবে।”
[আবূ দাউদ: ২৮৪০; মুসনাদ আহমদ: ২০০৯৫]
৩. উম্মে কুরয আল-কা‘বিয়া রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বর্ণনা করেন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةٌ”
অর্থ: “ছেলে সন্তানের জন্য সমবয়সী দুটি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল দ্বারা আকীকা করা যাবে।”
[আবূ দাউদ: ২৮৩৬; মুসনাদ আহমদ: ২৭৪০৯]
৪. হাফসা বিনতে আব্দুর রহমান রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বর্ণনা করেন:
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা তাঁকে অবহিত করেছেন যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَانِ ، وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةٌ”
অর্থ: “পুত্র সন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং কন্যা সন্তানের জন্য একটি ছাগল।”
[ইবন হিব্বান: ৫৩১০; ইবন আবী শাইবা: ২৪৭২৯]
৫. ইয়াযীদ বিন আব্দুল্লাহ মুযানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“يُعَقُّ عَنِ الْغُلاَمِ ، وَلاَ يُمَسُّ رَأْسُهُ بِدَمٍ”
অর্থ: “পুত্র সন্তানের জন্য আকীকা করা হবে, তবে তার মাথায় রক্ত লাগানো যাবে না।”
[ইবন মাজা: ৩১৬৬; আল-আদাদ ওয়াল-মাছানী: ১১০৮]
৬. আমর বিন শুয়াইব তার পিতা এবং দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“أَمَرَ بِتَسْمِيَةِ الْمَوْلُودِ يَوْمَ سَابِعِهِ وَوَضْعِ الأَذَى عَنْهُ وَالْعَقِّ”
অর্থ: “নবজাতকের সপ্তম দিনে নাম রাখা, তার মাথার আবর্জনা দূর করা এবং আকীকা করা উচিত।”
[তিরমিযী: ২৮৩২]
৭. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বর্ণনা করেন:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“وَكَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَةِ يَجْعَلُونَ قُطْنَةً فِى دَمِ الْعَقِيقَةِ”
অর্থ: “জাহেলী যুগের লোকেরা আকীকার রক্তে তুলা ভিজিয়ে শিশুর মাথায় লাগাত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলেন তুলার স্থলে সুগন্ধি লাগাতে।”
[তাবরানী, আল-মু‘জামুল আওসাত: ১৮৮৩]
আকিকার মাসআলা (সংক্রান্ত জরুরি)
আকিকা করার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো। নিচে আকিকা সংক্রান্ত কিছু জরুরি মাসআলা আলোচনা করা হলো:
আকিকা কার ওপর ওয়াজিব?
আকিকা করা ওয়াজিব নয়, এটি একটি সুন্নত আমল। তবে, যদি কারো সামর্থ্য থাকে, তবে তার জন্য আকিকা করা উত্তম।
আকিকার নিয়ম
আকিকার নিয়মকানুনগুলো নিচে দেওয়া হলো:
- পশু নির্বাচন: ছাগল, ভেড়া, গরু, মহিষ, উট ইত্যাদি পশু দিয়ে আকিকা করা যায়।
- পশুর বয়স: ছাগল বা ভেড়া হলে কমপক্ষে এক বছর এবং গরু বা মহিষ হলে কমপক্ষে দুই বছর বয়স হতে হবে।
- পশুর সংখ্যা: ছেলে সন্তানের জন্য দুইটি এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি পশু দিয়ে আকিকা করা উত্তম। তবে, সামর্থ্য না থাকলে ছেলে সন্তানের জন্য একটি পশু দিয়েও আকিকা করা যায়।
- জবাইয়ের নিয়ম: পশু জবাই করার সময় “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলতে হবে।
- মাংস বিতরণ: আকিকার মাংস নিজে খাওয়া, আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।
আকিকার সময়
সাধারণত সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা করা উত্তম। তবে, যদি কোনো কারণে সপ্তম দিনে সম্ভব না হয়, তবে ১৪তম বা ২১তম দিনেও করা যায়। এছাড়া, পরবর্তীতে যেকোনো সময় আকিকা করা যেতে পারে।
আকিকার দোয়া
আকিকা করার সময় কোনো নির্দিষ্ট দোয়া নেই। তবে, পশু জবাই করার সময় “ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি অমাহ ইয়াইয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লাশারিকালাহু ওয়াবিজালিকা ওমিরতু অ আনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা বিছমিল্লাহি আল্লহু আকবার বলে কোরবানির পশু জবাই করবে” বলা সুন্নত। এছাড়া, নিজের ভাষায় সন্তানের জন্য দোয়া করা যায়।
আকিকার গোশত বিতরণের নিয়ম
আকিকার গোশত তিন ভাগে ভাগ করে বিতরণ করা উত্তম:
- এক ভাগ নিজের জন্য।
- এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য।
- এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য।
তবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী এই নিয়মের পরিবর্তন করা যেতে পারে।
আকিকা না দিলে কি হয়?
আকিকা করা সুন্নত, ওয়াজিব নয়। তাই আকিকা না দিলে গুনাহ হবে না। তবে, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আকিকা না করা অনুচিত।
আকিকা সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)
আকিকা নিয়ে অনেকের মনে কিছু প্রশ্ন থাকে। এখানে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
কুরআনে কি আকিকা সম্পর্কে কিছু বলা আছে?
কুরআনে সরাসরি আকিকা নিয়ে কিছু বলা না থাকলেও, হাদিসে এর গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক বর্ণনা রয়েছে। হাদিসের আলোকে আলেমরা আকিকাকে সুন্নত বলেছেন।
জন্মের কত দিন পর আকিকা দিতে হয়?
জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা দেওয়া উত্তম। তবে, সম্ভব না হলে ১৪তম বা ২১তম দিনেও দেওয়া যায়।
গরু দিয়ে আকিকা করা যাবে কি?
হ্যাঁ, গরু দিয়ে আকিকা করা যায়। এক্ষেত্রে গরুর বয়স কমপক্ষে দুই বছর হতে হবে।
ছাগল দিয়ে আকিকার নিয়ম কি?
ছাগল দিয়ে আকিকা করার নিয়ম হলো:
- ছাগলের বয়স কমপক্ষে এক বছর হতে হবে।
- ছেলে সন্তানের জন্য দুইটি এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল জবাই করতে হবে।
- জবাই করার সময় “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলতে হবে।
মেয়ে ছাগল দিয়ে কি আকিকা হবে?
হ্যাঁ, মেয়ে ছাগল দিয়েও আকিকা করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
আকিকার পশু কেমন হতে হবে?
আকিকার পশু সুস্থ ও সবল হতে হবে। কোনো খুঁত বা রোগ থাকা যাবে না।
আকিকার পশু জবাই করার নিয়ম কি?
আকিকার পশু জবাই করার সময় “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলতে হবে। পশুটিকে কিবলামুখী করে শোয়াতে হবে এবং ধারালো ছুরি দিয়ে দ্রুত জবাই করতে হবে।
আকিকার মাংস কি শুধু গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে?
না, আকিকার মাংস গরিব-দুঃখী, আত্মীয়-স্বজন এবং নিজেরাও খেতে পারবে। তবে, গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা উত্তম।
আকিকার খরচ কে বহন করবে?
আকিকার খরচ সাধারণত সন্তানের বাবা বহন করেন। তবে, বাবা না থাকলে পরিবারের অন্য কোনো সদস্য বা অভিভাবকও এই খরচ বহন করতে পারেন।
আকিকার বদলে টাকা দান করলে কি আকিকা হবে?
আকিকার বদলে টাকা দান করলে আকিকা হবে না। আকিকা একটি ইবাদত, যা পশু জবাই করার মাধ্যমে আদায় করতে হয়।
হাজীদের ওপর কি আকিকা করা ওয়াজিব?
হাজীদের ওপর আকিকা করা ওয়াজিব নয়। এটি একটি সুন্নত আমল।
মাসিকের সময় আকিকা করা যাবে কি?
হ্যাঁ, মাসিকের সময় আকিকা করা যাবে। আকিকা করার জন্য পবিত্র হওয়া জরুরি নয়।
যমজ সন্তানের জন্য আকিকা কিভাবে করতে হবে?
যমজ সন্তানের জন্য আলাদাভাবে আকিকা করতে হবে। ছেলে সন্তানের জন্য দুইটি করে এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি করে পশু জবাই করতে হবে।
আকিকার গুরুত্ব ও ফজিলত
আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় এবং সন্তানের জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। নিচে আকিকার কিছু ফজিলত উল্লেখ করা হলো:
- আল্লাহর সন্তুষ্টি: আকিকা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি নিয়ে আসে।
- গুনাহ মাফ: আকিকার মাধ্যমে সন্তানের ছোটখাটো গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
- বিপদ থেকে মুক্তি: বিশ্বাস করা হয় যে আকিকা সন্তানকে বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে।
- উত্তম স্বাস্থ্য: আকিকার দোয়ার বরকতে সন্তান সুস্থ ও সুন্দর জীবন লাভ করে।
- সম্পর্ক উন্নয়ন: আকিকার অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হয়, যা সম্পর্ক উন্নয়নে সাহায্য করে।
আকিকার বিকল্প
যদি কারো আকিকা করার সামর্থ্য না থাকে, তবে তিনি নফল ইবাদত ও দান-সদকা করতে পারেন। এছাড়া, সন্তানের জন্য বেশি বেশি দোয়া করাও একটি উত্তম বিকল্প।
আকিকা পালনে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
বর্তমানে আকিকা পালনের ক্ষেত্রে কিছু আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায়। অনেকে আকিকার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন, যেমন দরিদ্র শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। এটি আকিকার তাৎপর্যকে আরও বেশি অর্থবহ করে তোলে।
উপসংহার
আকিকা একটি সুন্দর ইসলামিক ঐতিহ্য, যা নবজাতকের জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে। আকিকার মাসআলাগুলো জেনে সঠিকভাবে এই সুন্নত পালন করুন। আপনার সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যেন সে একজন ভালো মানুষ হিসেবে জীবনযাপন করতে পারে।
আশা করি, আকিকা নিয়ে আপনার মনে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পেরেছি। যদি আরও কিছু জানার থাকে, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি।